বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:চোখে চশমা, পরনে হালকা সবুজ রঙের পাঞ্জাবি, লম্বা সাদা চুল বাতাসে উড়ছে। সেই সঙ্গে কিছু লিখছেন কবি । গুগল ডুডলে চোখ রাখলে আজ মঙ্গলবার কবি শামসুর রাহমানের এমনই প্রতিচ্ছবি দেখা যাবে।
আজ কবি, কলাম লেখক ও সাংবাদিক শামসুর রাহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের হোমপেজে নতুন এই ডুডল তৈরি করেছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য দিয়েছে।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের (২৩ অক্টোবর ১৯২৯ – ১৭ আগস্ট ২০০৬) আবির্ভাব বিশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে। শামসুর রাহমানের জন্ম পুরান ঢাকার ৪৬, মাহুতটুলি এলাকায় নানাবাড়িতে। তাঁর পৈতৃক বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার মেঘনা নদীর তীরে পাড়াতলী গ্রামে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ার সময় শামসুর রাহমান প্রগতিশীল লেখক-শিল্পী সমিতির সঙ্গে জড়িয়ে যান। মধুর ক্যান্টিনের আড্ডায় কবি পাঠ করতেন নিজের কবিতা। সেই সঙ্গে অবিচলিতভাবে তিনি যুক্ত ছিলেন ভাষা আন্দোলনে।
১৯৫৩ সালে স্নাতক সম্মান পাস করার পর কবি শামসুর রাহমান পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেন। দৈনিক মর্নিং নিউজে সহসম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা শামসুর রাহমান, রেডিও পাকিস্তান, দৈনিক পাকিস্তান (পরে দৈনিক বাংলা) সাপ্তাহিক বিচিত্রা, অধুনা প্রভৃতি গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে। তিনি ৬৬টি কাব্যগ্রন্থ, চারটি উপন্যাস, একটি প্রবন্ধগ্রন্থ, একটি ছড়ার বই ও ছয়টি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।
দীর্ঘ সাহিত্য জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে শামসুর রাহমান আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, জীবনানন্দ পুরস্কার ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
কবি শামসুর রাহমান ১২ দিন কোমায় থাকার পর ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Leave a Reply